অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ষষ্ঠ বাছাইকে হারিয়ে চমক রুশ স্কুলছাত্রীর
এক বছর আগে বালিকা বিভাগের ফাইনালে হেরে কেঁদেছিলেন আন্দ্রিভা। এবার নিজে তো বটেই, দর্শকদেরও হাসাচ্ছিলেন নারী এককে দ্বিতীয় রাউন্ডে চমকের জন্ম দেয়ার পর। রাশিয়ার ১৬ বছর বয়সী স্কুলবালিকা হারিয়ে দিয়েছেন তাঁর আদর্শ তিউনিসিয়ার উনস জাবিরকে, যিনি টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ বাছাই। সেটিও এক ঘণ্টার কম সময়ে ৬-০, ৬-২ গেমে। শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকা কারও বিপক্ষে আন্দ্রিভার এটি প্রথম জয়। জয়ের পর আন্দ্রিভা বলেছেন চাপ না নিয়ে খেলার কথা, ‘আমি ম্যাচের আগে সত্যিই নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু দেখলাম সে–ও নার্ভাস। এটি আমাকে সহায়তা করেছে, কারণ আমি বুঝেছি ম্যাচের আগে আমিই একমাত্র নার্ভাস নই। আমি শুধু উপভোগ করতে চেয়েছি, কারণ এটি রড লেভার অ্যারেনা, এমন একজনের বিপক্ষে খেলছি, যাকে আমি পছন্দ করি। আমি শুধু খেলতে চেয়েছি এবং আমার মনে হয়েছে ঠিকঠাকই খেলেছি।’
পরের রাউন্ডে ফ্রান্সের দিয়ান প্যারির মুখোমুখি হবেন আন্দ্রিভা। তাঁর জন্য এটিই অবশ্য প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম নয়। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনে তৃতীয় রাউন্ড ও উইম্বলডনে চতুর্থ রাউন্ডে গিয়েছিলেন বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসার পর। ইউএস ওপেনে পরবর্তী সময়ে চ্যাম্পিয়ন কোকো গফের কাছে অবশ্য হেরেছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডেই। টেনিস ক্যারিয়ারের স্বপ্ন আন্দ্রিভা দেখেন ঠিকই, তবে সামলাতে হয় স্কুলও। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আন্দ্রিভার জয়টিই একমাত্র ‘রাশিয়ান-চমক’ নয়। ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি হেরে যান রাশিয়ার ২০ বছর বয়সী মারিয়া তিমোফেভার কাছে। প্রথম সেটে ৬-১ গেমে হারলেও বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা তিমোফেভা ফিরে আসেন দারুণভাবে, পরের দুটি সেট জেতেন ৬-৪, ৬-১ গেমে।ম্যাচের পর তিমোফেভা বলেন, ‘এখানে আজ ক্যারোলিনের বিপক্ষে খেলাটা সম্মানের ছিল। কতটা খুশি বোঝাতে পারব না, এর চেয়ে বেশি আর কিইবা চাইতে পারতাম।’ পরের রাউন্ডে তিমোফেভার প্রতিপক্ষ দশম বাছাই ব্রাজিলের বিয়াত্রিজ হাদ্দাদ মাইয়া। ইন্টারনেট